মালদা

‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পকে হাতিয়ার করে মালদায় বাল্যবিবাহ বিরোধী আন্দোলনকে আরও ক্ষুরধার করে তোলার উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন

সারা রাজ্যে উন্নয়নের পাশাপাশি শিশু ও নারী শিক্ষার উন্নতিতে এক অন্যমাত্রা যোগ করে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক দরবারে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে এনেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ভাবিত ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প। গত ছয় বছরে ক্রমশঃ বিশ্বশ্রী হয়ে ওঠা ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পকে হাতিয়ার করে মালদায় বাল্যবিবাহ বিরোধী আন্দোলনকে আরও ক্ষুরধার করে তোলার উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের সদর দপ্তর থেকে বেরিয়ে পড়ল দু’টি সুসজ্জিত ট্যাবলো। ২৫ জুলাই কন্যাশ্রী দিবস পালনের মুহূর্ত পর্যন্ত এই ট্যাবলো দু’টি ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সব নাবালিকাকে বিদ্যালয়মুখী করার বার্তা নিয়ে চষে ফেলবে জেলার ১৫টি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকাগুলি।

এদিন সকালে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ট্যাবলো দু’টির জেলা’র এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাত্রার সূচনা করেন মালদার জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন তিনজন অতিরিক্ত জেলাশাসক - আর ভিমলা (সাধারণ), মলয় মুখোপাধ্যায় (জেলা পরিষদ) এবং দেবতোষ মণ্ডল (ভূমি ও ভূমি সংস্কার)। 

পরে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, একসময় মালদা জেলায় নাবালিকাদের বাল্যবিবাহ প্রায় অভিশাপ হয়ে উঠেছিল। কন্যাশ্রী প্রকল্পের হাত ধরে এখন বাল্যবিবাহের মত ঘটনা এ জেলায় প্রায় অতীত। কিন্তু আমাদের সন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই। তাছাড়াও ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সব কিশোরীকেই বিদ্যালয়ের আঙিনায় আনতে মালদা জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যেই এই ট্যাবলো দু’টি জেলার সবক’টি ব্লকেই ঘুরবে আগামী এক সপ্তাহ।

জেলাশাসক বলেন, জেলার যে এলাকাগুলোতে সামান্য হলেও বাল্যবিবাহের মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমরা মনে করছি, সেই সব এলাকায় বিশেষ করে বাল্যবিবাহ বিরোধী এবং মেয়েদের বিদ্যালয়-শিক্ষার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালাবে এই ট্যাবলো দু’টি।